বিশ্বের যেকোনো দেশে গণতন্ত্র, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কথা বলা আধিপত্য বিস্তার নয়, এটা যুক্তরাষ্ট্রের স্বাভাবিক পররাষ্ট্রনীতি— এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলনে সোমবার (৯ অক্টোবর) ‘ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রতিযোগিতা’ শীর্ষক অধিবেশনে এ মন্তব্য করেন তিনি। সেখানে প্রশ্নোত্তর পর্বে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে তার দেশের অবস্থান তুলে ধরেন। গণতন্ত্র নিয়ে দেশটির পদক্ষেপের ব্যাখ্যা দেন তিনি।
পিটার হাস বলেন, কেউ কেউ ভাবেন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আধিপত্য বিস্তার করে। মূলত এটা সারা বিশ্বের মানবাধিকারের জন্য একটা সাধারণ অধিকার। এই বিষয়ে বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রই সম্মত হয়েছে। এটা কখনো আধিপত্য নয়, গুরুত্বপূর্ণ বটে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বললেন, যুক্তরাষ্ট্র মূলত ওই সব ধারণার জায়গায় প্রতিযোগিতা করে, যেখানে একনায়কতন্ত্র চলে। বাংলাদেশ পূর্ব বা পশ্চিম কাকে অনুসরণ করবে সেটা বিষয় না, বিষয় হচ্ছে তারা একনায়কতন্ত্র নাকি আমাদের ওই (গণতন্ত্র) ধারণা বিশ্বাস করে। বাংলাদেশই এই সিদ্ধান্ত নেবে।
অধিবেশনটিতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অষ্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতরা। ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত সারাহ কুক বলেন, সারা বিশ্বের নানা সমস্যার মধ্যেও রোহিঙ্গা সমস্যার ওপর দৃষ্টি রাখতে হবে। যুক্তরাজ্য বিশেষভাবে আর্ন্তজাতিক গোষ্ঠীকে রোহিঙ্গা সমস্যার ওপর দৃষ্টি রাখতে বলে।